
প্রতিবেদক: Md. Alak Hossain | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 27 Jun 2025, 8:21 AM

কুমিল্লায় গ্রাম আদালতে ১৫ মাসে ৬,২৯০টি মামলা দায়ের, নিষ্পত্তির হার ৬৫.৪৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্থানীয় সরকার, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মশালার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প-এর আওতায়। কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, কুমিল্লা জেলায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত জেলার ১৭টি উপজেলার ১৯৩টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে মোট ৬,২৯০টি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই সময়ে মামলা নিষ্পত্তির হার ৬৫.৪৮ শতাংশ এবং বাস্তবায়িত সিদ্ধান্তের হার ৯১.১১ শতাংশ। মোট আদায়কৃত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৮৮ টাকা।
গত এক বছরে ২,২০৮ জন নারী গ্রাম আদালতে আবেদন করেন। বিচার প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণের হার ছিল শতকরা ১৫ শতাংশ। উচ্চ আদালত থেকে প্রেরিত মামলার সংখ্যা ছিল ৮০৯টি।
জানানো হয়, ২০০৬ সালের “গ্রাম আদালত আইন”-এর আওতায় স্থানীয়ভাবে কতিপয় ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধের সহজ, দ্রুত, স্বল্প ব্যয় ও নিরপেক্ষ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনজীবী ব্যতীত ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে স্থানীয়ভাবে চুরি, প্রতারণা, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, পাওনা টাকা আদায়, স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধার, কৃষিশ্রমিকদের পাওনাদির মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায় ইত্যাদি বিষয়ের আবেদন শুনানি শেষে নিষ্পত্তি করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন। সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মেহেদী মাহমুদ আকন্দ।
কর্মশালায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান। সহযোগিতায় ছিলেন প্রকল্পের আরেক ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ ইকবাল হোসেন। প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান, সাংবাদিক গাজিউল হক সোহাগ, সাংবাদিক শাহজাদা এমরান এবং আইরিন অধিকারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেন, "সকলকে গ্রাম আদালতের সুফল সম্পর্কে অধিক সচেতন করতে হবে। উচ্চ আদালতের মামলার চাপ কমাতে ও স্থানীয়ভাবে বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি সকল পক্ষকে সমন্বিতভাবে গ্রাম আদালত প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

বাঞ্ছারামপুরে ২ সন্তানের জননী গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযো...
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের কানাইনগরে রিপন মিয়ার...

আলমগীর হোসেন চান্দলা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক...
আনোয়ারুল ইসলামকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দক্ষিণ চান্দলা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিস...

বুড়িচংয়ে ডাক্তার মীর হোসেনের মায়ের ইন্তেকাল
বুড়িচং প্রতিনিধিকুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও...

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি,দাউদকান্দিকুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী আ...

দাউদকান্দিতে নদী পুনরুদ্ধার বর্জ্যঅপসারণ ও ব্যবস্থাপনা শীর্...
নিজস্ব প্রতিনিধি,দাউদকান্দিকুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি...

বাঞ্ছারামপুরে শত বছরের পুরনো কবুতরের হাটে বিক্রি হয় লাখ টাক...
ফয়সল আহমেদ খানরোববার আসলেই হাট বসে। সে-ই শত বর্ষ আগে থেকে। এদত অঞ্চলের মানুষ হাটটিকে ঘিরে ব্যবসায়িক...
