প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: জাতীয় | প্রকাশ: 6 Dec 2025, 7:20 PM
কিডনির সমস্যা কেন শেষের দিকে ধরা পড়ে? জানুন সমাধান
এফএনএস স্বাস্থ্য:
কিডনির সমস্যা এমন এক রোগ, যা শুরুতে তেমন কোনো লক্ষণই প্রকাশ করে না। শরীর যেন বুঝতেই দিতে চায় না যে ভেতরে সমস্যা বাড়ছে। ঠিকঠাক ঘুমানো, খাওয়া, কাজ করা-সবকিছুই স্বাভাবিক চলে। কিন্তু কিডনি ঠিকই আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই কিডনি রোগকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কিডনি সারাদিন রক্ত পরিষ্কার করে, বর্জ্য ছেঁকে শরীরকে স্বাভাবিক রাখে। এই কাজ করতে গিয়ে কিডনিতে ব্যথা-অস্বস্তি কিছুই অনুভূত হয় না। শুরুর দিকে কিডনি যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ততটাই বেশি পরিশ্রম করে ঘাটতি পুষিয়ে নিতে চায়। তাই পরীক্ষায় সব স্বাভাবিক দেখালেও সমস্যা ভিতরে জমতে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ রুটিন চেকআপে গিয়ে একদিন হঠাৎ জানতে পারে-তাদের কিডনি ইতোমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
চলুন কিডনি রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই-
কিডনি নষ্টের লক্ষণ
কিডনি যখন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখনই শরীর সেটা জানান দিতে শুরু করে। সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা যায়-
সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা
খাবারে অরুচি বা বমি ভাব
চোখের নিচে বা পায়ে ফোলা
ত্বক চুলকানো
রাতে ঘুমের সমস্যা
শ্বাস নিতে কষ্ট
প্রস্রাবে পরিবর্তন-বেশি ফেনা, বারবার প্রস্রাব, বা খুব কম প্রস্রাব
সমস্যা হলো-এসব লক্ষণকে বেশিরভাগ মানুষ সাধারণ শরীর খারাপ, স্ট্রেস বা বয়সের দোষ মনে করে। ফলে রোগ ধরা পড়তে আরও দেরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার বড় কারণ
কিডনির সর্বনাশ সবচেয়ে বেশি করে দুইটি রোগ - ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। এ দুটো দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির ফিল্টার নষ্ট হয়ে যায়।
এ ছাড়া নিয়মিত ব্যথানাশক খাওয়া, বারবার ইনফেকশন, প্রদাহ, অটোইমিউন রোগ কিংবা বংশগত কারণও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যেভাবে আগে থেকেই কিডনি রক্ষা করা সম্ভব
কিডনি নষ্ট হয়েছে কি না বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিয়মিত পরীক্ষা করা। উপসর্গের জন্য অপেক্ষা করলে দেরি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দুটি পরীক্ষাই সবচেয়ে জরুরি- রক্তে ক্রিয়েটিনিন/বএঋজ ও প্রস্রাবে প্রোটিন/অ্যালবুমিন পরীক্ষা।
এছাড়া ডায়াবেটিস রোগী, উচ্চ রক্তচাপ রোগী, হৃদরোগী, পরিবারে কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিংবা বয়স ৬০-এর বেশি হলে নিয়মিত পরীক্ষা করতেই হবে। আগেভাগে ধরা পড়লে খাদ্যাভ্যাস, নিয়মনীতি আর চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি অনেকদিন সুস্থ থাকে।
কিডনি ভালো রাখার সহজ কিছু অভ্যাস
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা
রক্তচাপ আর রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা
ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস না করা
লবণ কম খাওয়া
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
ধূমপান-মদ্যপান এড়িয়ে চলা
শরীরের সবচেয়ে নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। নিয়মিত যত্ন নিলে ও আগে থেকে সচেতন থাকলে বড় বিপদ সহজেই এড়ানো যায়।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
চান্দিনার আঞ্চলিক সড়কে দুর্নীতির ছাপ সংস্কার কাজ শেষ না হতে...
সোহেল রানা, চান্দিনাকুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোর বেহাল চিত্র বহু বছরের। উপজেলার প্রধা...
কুমিল্লায় র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার
নিজস্ব প্রতিবেদকঅপরাধ দমনের পাশাপাশি দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও জাতীয় সার্থে আইন-শৃঙ...
রোটারি ক্লাব অব চৌদ্দগ্রামের পালাবদল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকরোটারি ক্লাব অব চৌদ্দগ্রামের পালাবদল শনিবার রাতে কুমিল্লাস্থ একটি রেস্টুরেন্টের হল র...
বুড়িচংয়ে ব্রিজের পাটাতন ভেঙে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক আটক, যান...
নিজস্ব প্রতিবেদক, বুড়িচংকুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের পাটাতন ভেঙে আটকে পড়...
ব্রাহ্মণপাড়ায় মারামারি করা সেই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্ত...
নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণপাড়াকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চাঁন্দপাড়া সরকারি প্র...
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় লালমাইয়ে বিএনপির মিলাদ
নিজস্ব প্রতিবেদকরাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগ...