প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 15 Oct 2025, 12:17 AM
অনিরাপদ ওয়াই ব্রিজ, হারাচ্ছে জৌলুশ
ফয়সল আহমেদ খান
দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ‘ওয়াই’ আকৃতির সেতু-তিতাস সেতুÑসন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে তলিয়ে যায়! কয়েক বছর ধরে সেতুর দুই পাশের সব সড়কবাতি বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। স্থানীয়দের ক্ষোভ, ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি আজ অন্ধকারে ডুবে আছে। অথচ কেউ যেন দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না।” কুমিল্লার হোমনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সংযোগস্থলে তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত এই সেতুটি এখন নিরাপত্তাহীনতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। রাত নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দোকানপাট ও গাড়ির আলোই এখন একমাত্র ভরসা। এতে বিশেষ করে নারী, শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ সুযোগে সেতুর ওপরই জমে উঠছে মাদকসেবীদের আড্ডা, ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনাও। তবু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চুপচাপ দর্শকের ভূমিকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছর ধরে সড়কবাতি নষ্ট পড়ে থাকলেও কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছে না। ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭৭১ মিটার দীর্ঘ ও ৮.১০ মিটার প্রস্থের এই আধুনিক সেতুটি। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন দেশজুড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু আজ সেই সেতু অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আকর্ষণ হারাচ্ছে দ্রুত।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেনÑ “এতো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর বাতিগুলো বছরের পর বছর অচল পড়ে থাকবে, অথচ প্রশাসন চুপ করে থাকবেÑ এটা কি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নয়?” অটোরিকশা চালক চালক রফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকবছর দিন যাবত ব্রিজের বাতি গুলো নস্ট হয়ে আছে কিন্তু ঠিক করছে না। বাতি গুলো ঠিক করলে আমরা রিস্ক ছাড়া ব্রিজ পাড়াপার করতে পারতাম।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, বাতিগুলো নস্ট হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকার হয়ে যায়, মাঝে মাঝে চুরি হয়। মানুষ রাতের ব্রিজ পাড়াপার করতে ভয় পায়, কারন মাদক সেবীদের আনাগোনা বেশি এখানে। প্রশাসনের কাছে আবেদন এই বাতিগুলো যেনো দ্রুত ঠিক করে দেয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা'র ভাষ্য , “ওয়াই ব্রিজের দু’পাশের বাতিগুলো নষ্ট হয়ে আছেÑ বিষয়টি আমি অবগত। ব্রিজের আলোর সব ব্যবস্থার জন্য জেলা পরিষদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সোলার বাতি স্থাপনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ওয়াই ব্রিজসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের জন্য মোট ৩৭টি স্থানে আলোকায়ন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।” উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাতিগুলো পুনঃস্থাপনের জন্য আমরা চাহিদাপত্র উপর মহলে পাঠিয়েছি।আশাকরি লাইটগুলো এসে যাবে"। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে সড়কবাতিগুলো মেরামত করে সেতু নিয়মিত পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হোক।ওয়াই ব্রিজের হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
এ কেমন স্কুল ভবন!
একটি শিশুর জন্য বাড়ির পরই সবচেয়ে নিরাপদ স্থান স্কুল। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবহেলা, অনা...
মামদানির বিজয়, মুসলিম কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা
বিশাল ভোটের ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু ক্যুমোকে পরাজিত করে...
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের জমজমাট হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির বেশির ভাগ প্...
মনোনয়ন বঞ্চনায় কুমিল্লা দঃ জেলা বিএনপির তৃণমূলে ক্ষোভ ও বি...
আয়েশা আক্তারকুমিল্লা-৬ (সদর ও সদর দক্ষিণ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভে ফুঁসছে...
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক মো. সফ...
কাজী খোরশেদ আলমবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও নির্বাহী সদস্য মো. স...
হেমন্ত প্রবাহমান নবান্নের হাতছানি
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বরুড়াআজ ২০-শে কার্তিক বাংলা ঋতু চক্রের অন্যতম হলো "হেমন্ত" কার্তিক ও&...