প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 11 Dec 2025, 9:37 PM
শীত বাড়ছে, ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্রাহ্মণপাড়ার লেপ-তোষকের কারিগররা
মোঃ আবদুল আলীম খান
সকাল-সন্ধ্যা শীতের আমেজ বইছে, অগ্রহায়ণ শেষের দিকে আবহাওয়ার বেশ পরিবর্তন হয়েছে পুরোপুরি শীত আসতে যদিও আরও কিছুদিন বাকি। এদিকে শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার লেপ-তোষকের কারিগররা। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করছেন তারা, যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। তবে, আধুনিক সময়ে এসে নানা ধরনের কম্বল বাজারে আসায় আগের তুলনায় বেচা বিক্রি কমেছে বলে আক্ষেপ লেপ-তোষকের কারিগরদের।
সরেজমিনে,উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমকে সামনে রেখে লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানে দোকানে চলছে লেপ, তোষক, বালিশ, কোলবালিশ ও জাজিম তৈরির প্রতিযোগিতা। এবার আকারভেদে প্রতি পিস লেপ বিক্রি হচ্ছে ১৫ শ থেকে ১৮শ টাকায়, তোষক ২২ শত থেকে ৩০ হাজার, জাজিম ৫ হাজর থকে ৬হাজার ও বালিশ জোড়া ৪শ থেকে ৫শ টাকায়।
ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের লেপ-তোশকের দোকানি মিজার বেডিং এর মালিক মিজান মিয়া জানান, বছরের প্রায় আট মাস তেমন বেশি কাজ হয় না। শীতের ৪ মাসের আয়-রোজগার দিয়ে বাকি আট মাস চলতে হয় তাদের। তাই দিন রাতে কাজ করতে হয় শীতের মৌসুমে। তবে, আধুনিক সময়ে এসে বাহারি ডিজাইনের কম্বল বাজারে আসায় কমে এসেছে লেপ-তোষকের চাহিদা।
লেপ-তোষকের কারিগর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রাসেল বেডিং স্টোরের মালিক আমির হোসেন জানান, বর্তমান বাজারে কম্বলের চাহিদা বেশি, তাই দিন দিন লেপ-তোষকের চাহিদা কিছুটা কমে এসেছে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের অলস কাটাতে হয়। শীতের ২-৩ মাসই আমাদের ব্যাবসায়িক মৌসুম। যার কারণে এই সময়ে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বেশিই থাকে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মতো লেপ-তোষক তৈরি করে আমাদের এসব ডেলিভারি দিতে হচ্ছে। একেকজন কারিগর প্রতিদিন ৫-৬টি করে লেপ তৈরি করতে পারে। তবে আশা করছি সামনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি আমাদের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে।সিদলাই বাজারে লেপ-তোষকের আরেক কারিগর জমির হোসেন বলেন, এবার শীতের আগেই সন্ধ্যারাত থেকে ভোর বেলা পর্যন্ত কিছুটা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এতে কিছু কিছু অর্ডার হচ্ছে। তীব্র শীত শুরু হলে দোকানগুলোতে চাপ আরও বাড়বে।
লেপ-তোষক ক্রয় করতে আসা ব্রাহ্মণপাড়ার আবুল হাসেম বলেন, বর্তমানে শেষ রাতে ঠান্ডা লাগে, তাই আগেভাগেই একটি পুরাতন লেপের তুলা বদলিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। সাথে একটি নতুন লেপ কিনেছি। তবে গতবারের চেয়ে তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপের দাম বেড়ে গেছে।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
স্বাধীনতার শত্রুরা ফের ‘মাথাচাড়া’ দিতে চায়: ফখরুল
একাত্তরে যারা বাংলাদেশই চায়নি, তারাই এখন ‘মাথাচাড়া’ দিতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির...
ভোটের ওপর নির্ভর করছে সবার ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটকে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হ...
চান্দিনার আঞ্চলিক সড়কে দুর্নীতির ছাপ সংস্কার কাজ শেষ না হতে...
সোহেল রানা, চান্দিনাকুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোর বেহাল চিত্র বহু বছরের। উপজেলার প্রধা...
কুমিল্লায় র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার
নিজস্ব প্রতিবেদকঅপরাধ দমনের পাশাপাশি দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও জাতীয় সার্থে আইন-শৃঙ...
রোটারি ক্লাব অব চৌদ্দগ্রামের পালাবদল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকরোটারি ক্লাব অব চৌদ্দগ্রামের পালাবদল শনিবার রাতে কুমিল্লাস্থ একটি রেস্টুরেন্টের হল র...
বুড়িচংয়ে ব্রিজের পাটাতন ভেঙে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক আটক, যান...
নিজস্ব প্রতিবেদক, বুড়িচংকুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের পাটাতন ভেঙে আটকে পড়...