
প্রতিবেদক: Alak Hossain | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 21 Jul 2025, 11:47 AM

কুমিল্লায় জলাধার দখল ও বন্ধ করে একের পর এক গড়ে উঠছে স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা নগর উন্নয়নের নামে একের পর এক ভরাট হচ্ছে কুমিল্লা নগরীর জলাধার, পুকুর ও খাল। কোথাও গড়ে উঠছে আবাসন, কোথাও প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি আবাসন ভবন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন। ফলে জলাধার বিলুপ্ত হয়ে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের।
কুমিল্লার কালিয়াজুড়ি মৌজায় এক সময় যেখানে ছিল অতিথি পাখির কলকাকলি, বর্ষার পানি জমে গড়ে উঠত প্রাকৃতিক জলাধার, আজ সেখানে গড়ে উঠেছে সুউচ্চ অট্টালিকা। কারারক্ষীদের জন্য আবাসন নির্মিত হচ্ছে, তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলেন একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা পরেন র্দুভোগে। এলাকাবাসী এখানে একটি গভীর ড্রেন তৈরীর দাবী জানান।
কবি ও সাহিত্যিক সাবেক পৌর কমিশনার জহিরুল হক দুলাল বলেন, রেইকোর্স এলাকায় ছিল বিশাল প্রাকৃতিক জলাভূমি, বৃষ্টির পানি এই জলাভূমি দরে রাখতে পারতো। একনেকে অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মিলেছে অনুমোদন। আর অনুমোদন প্রক্রিয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে বলে জানান গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।
শুধু এই প্রকল্প নয়, নগরীর সাহাপাড়া এলাকায় ভরাট হয়েছে লস্করপুকুর। এক সময় এখানে পুকুর থাকলেও বিগত সময়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠেছে বাড়িঘর ও দালান কোঠা। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশ। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না এলাকাবাসী।
গত দেড় দশকে ভরাট হয়েছে কুমিল্লা নগরীর বহু জলাধার ও পুকুর। বিগত ১৪ বছরে মাত্র ৮টি মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, যার কোনোটিরই কার্যকর সমাধান হয়নি। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে নেই কুমিল্লার জলাধারগুলোর সুনির্দিষ্ট তালিকা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ভূগর্ভস্থ পানি, ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র। কারারক্ষীদের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোন ছাড়পত্র নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
নাগরিক সমাজের প্রশ্ন- পরিবেশ ধ্বংস করে এই উন্নয়ন কার জন্য? এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, কুমিল্লার পরিবেশ বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে রক্ষা পাবে জলাধার।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার জানান, বেশ কিছু মানুষ জলাধার ভরাট করার উদ্যোগ নিলে তা বন্ধ করেছেন, জলাধার পূর্র আবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠান জলাধার ভরাট করার উদ্যোগ নিলে তিনি তারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়ায় বিগত সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জলাধার রক্ষায় আইন যথাযথ প্রয়োগের কথা জানান তিনি।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

তিতাসে নিহত শীর্ষসন্ত্রাসী মামুনের দুই সহযোগী ইয়াবাসহ আটক
নাজমুল করিম ফারুক কুমিল্লার তিতাসের শোলাকান্দি গ্রামের নিহত শীর্ষসন্ত্রাসী মামুনের দুই সহযোগীকে আটক...

মুরাদনগরে অনুমতি ছাড়া এলপিজি গ্যাস বিক্রির অপরাধে ২ লাখ টাক...
বেলাল উদ্দিন আহাম্মদকুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বিনা অনুমতিতে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তি করে বাজার...

জুলাই আন্দোলনে আহত দেবিদ্বারের আবু বকর এক বছরেও স্বাভাবিক জী...
মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগরকুমিল্লার দেবিদ্বারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র হামলার শিকার হয়ে এক বছর ধরে বাক...

কুমিল্লায় নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সদর দক্ষিণকুমিল্লা -১০ সংসদীয় আসন ভেঙ্গে ত্রিখন্ডিত করে আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিব...

বাঞ্ছারামপুরের সেই কোটিপতি কাজীর বিরুদ্ধে এবার নারী কেলেংকার...
ফয়সল আহমেদ খানব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের কাজী হেলাল উদ্দিন...

বরুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের ফলজ গাছের চারা বিতরণ
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম"পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলাপ...
