প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 16 Sep 2025, 11:56 AM
চান্দিনায় যুবদল নেতার নিয়ন্ত্রণে থাকা কৃষিজমি ও খাল গিলে খাচ্ছে ড্রেজার
সোহেল রানা
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শুহিলপুর ও বাতাঘাসী ইউনিয়ন জুড়ে যুবদল নেতার নিয়ন্ত্রণে চলছে ফসলি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন। জমির মালিক ও ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি স্কয়ার ফুটে কমিশন আদায় করার মাধ্যেমে রাত-দিন প্রকাশ্য অবৈধভাবে কৃষিজমি ভরাট ও সরকারি খাল দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছ ওই নেতার বিরুদ্ধে। প্রশাসন জানলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকায় পরিবেশ ও কৃষি সম্পদ মারাত্মক হুমকির মুখে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়- বালু-মাটি উত্তোলন ও জমি ভরাটের এই অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে শুহিলপুর ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বশিকপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মো. আকবর মোল্লা। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতি স্কয়ার ফুট দেড় থেকে ২টাকা করে ড্রেজার ব্যবসায়ী ও জমি ভরাট মালিকদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করেন। এবং অনুমতি না থাকলেও প্রতিটি ড্রেজার মেশিন চালানোর অনুমতি দিচ্ছেন। তার প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতায় দিনরাত অব্যাহত রয়েছে এ বালু-মাটি উত্তোলন। সরকারি জায়গা দখল নিয়ে ভরাট করা হচ্ছে খাল ও কৃষি জমি। নির্মাণ করা হচ্ছে বসত বাড়ি। এতে করে পরিবেশ ও কৃষিতে সৃষ্টি হয়েছে মারাতœক হুমকি, বিষয়টি প্রশাসনের জানা থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে প্রশাসন কয়েকবার অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপ ধ্বংস করলেও এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক বা জরিমানা করা হয়নি। স্থানীয়রা প্রশাসনের এ অভিযানকে শুধু লোক দেখানো নাম মাত্র অভিযান বলে দাবি করছেন। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় থানা সব জায়গাতেই রয়েছে এক ধরনের নীরবতা, এতে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, বশিকপুর গ্রামের 'প্রধান বাড়ির' হোসেন প্রধান ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নিজের জমির সঙ্গে সংযুক্ত সরকারি খালও ভরাট করে ফেলেছেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হলেও আকবর মোল্লার রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাবের কারণে ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তারা আরও বলেন আমরা জানি খাল ভরাট হলে জলাবদ্ধতা বাড়বে, ফসল নষ্ট হবে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু কিছু বললে ভয় দেখায়, হুমকি দেয়। আকবর মোল্লা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ওই ভরাট কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। তাই এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
ভেদাভেদ ভুলে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান মন...
নিজস্ব প্রতিবেদক, সদর দক্ষিণসকল ভেদাভেদ ভুলে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বি...
শোকে স্তব্ধ চৌদ্দগ্রামের দুই গ্রামের মানুষ কক্সবাজারে সড়ক দ...
এমরান হোসেন বাপ্পিকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহ...
ঘুষ-তদবির ছাড়া কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ৫৭ কর্মচারী বদলি
মাহফুজ নান্টুঘুষ ও তদবিরমুক্ত প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণির ৫৭ জন কর্মচারীর বদলি...
হাজী ইয়াছিনের মনোনয়ন প্রত্যাশায় রোজা গণ-ইফতার ও দোয়া
নিজস্ব প্রতিবেদককুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন দাবি ঘিরে টানা চার দিন ধরে নজিরবিহীন কর্মসূচি প...
শিক্ষার শুদ্ধতায় দাউদকান্দির ইউএনও নাছরীন আক্তারের সাহসী প...
আয়েশা আক্তারকুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা যেন নতুন করে জেগে উঠছে এক প্রাণবন্ত কর্মযজ্ঞে। সদ্য যোগ দেওয়...
নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও কুমিল্লা বিভাগ দাবিতে...
সাইফুল ইসলামকুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সকল ছাত্র জনতার ব্যানারে নাঙ্গলকোটে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থ...