
প্রতিবেদক: Alak Hossain | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 29 Jul 2025, 10:30 AM

অচল হয়ে পড়ে আছে কুসিকের দুই কোটি টাকার সিসি ক্যামেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন ও নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে স্থাপন করা দুই কোটি টাকার সিসি ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে কুমিল্লা নগরীতে বেড়েছে চুরি ছিনতাইসহ সামাজিক অপরাধ। পুলিশ বলছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না পাওয়ায় অপরাধী শনাক্তে বিলম্ব হচ্ছে। গেলো ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কুমিল্লা সিটি করর্পোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৯০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। স্থাপিত এসব ক্যামেরায় ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ( এআই ) , স্বয়ংক্রিয় গাড়ির নম্বর শনাক্তকরণ , মানুষের মুখাবয়ব চেনার সক্ষমতা, নাইট ভিশন এবং ৩৬০ ডিগ্রি ঘূর্ণন সুবিধাসহ ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মতো নানা আধুনিক প্রযুক্তি ।
নগরবাসীর প্রত্যাশা ছিলো ক্যামেরাগুলো স্থাপনের পর ভিডিওর মাধ্যমে অপরাধ দমন , যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল নগর কর্তৃপক্ষ । তবে সে প্রত্যাশায় গুঁড়েবালি। নগরীর বিভিন্ন মোড় , সড়ক ও জনবহুল স্থানে লাগানো অধিকাংশ ক্যামেরাই বছরখানেক ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে । কোথাও ক্যামেরার লেন্সে ধুলোবালু জমে রয়েছে, কোথাও তারের অবস্থা নাজুক , অনেক ক্যামেরার দিক পরিবর্তিত হয়েছে , ফলে নির্ধারিত এলাকার সঠিক ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না ।
কুমিল্লা নগরীর অন্তত ৯০ টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয় ক্যামেরাগুলো। সিটি করর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল , এগুলোর মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ , অপরাধ দমন ও জরুরি পরিস্থিতিতে তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে । তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব ক্যামেরা নিরাপত্তার কাজে দিকনির্দেশনা দেওয়ার বদলে নিজেই যেন বেকায়দায় পড়েছে ।
২০১৮ সালে সিটি করর্পোরেশনের প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্ব পেয়েছিলো সাবেক সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মালিকানাধীন নাইস পাওয়ার আইটি সলিউশন লিমিটেড । সরকারি ক্রয়নীতি অমান্য করে কোটেশন পদ্ধতিতে কাজ পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে। ২০২০ সালে কাজ শেষ হয়।
তবে শুরু থেকেই রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় । সিটি করর্পোরেশন থেকে নিয়মিত মাসিক বিল তুললেও প্রকৃতপক্ষে রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফলে ধীরে ধীরে ক্যামেরাগুলো অকেজো হতে থাকে। এমনকি সিটি করর্পোরেশনের প্রধান ফটকের ক্যামেরাও অচল হয়ে যায়।
নগরীর অন্তত কুড়িজন স্থায়ী বাসিন্দা ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন দফতরের অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ক্যামেরা লাগানো হলেও সেগুলো চালু নেই , কেউ দেখাশোনা করে না । অথচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত বিল তুলছে । টাকা নিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছে না ।
কুমিল্লা সিটি করর্পোরেশনের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ খায়রুল বাশার । তিনি বলেন , সম্প্রতি নতুন করে টেন্ডার দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত অর্ধশত ক্যামেরা সচল করা হয়েছে। আগের থেকে আরো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।
কুমিল্লা সিটি করর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) মোহাম্মদ মামুন বলেন , আগের ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে নতুন লোক দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নষ্ট ক্যামেরাগুলো সচল করা হচ্ছে । শিগগির সব ক্যামেরা চালু হবে।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

কুমিলায় জুলাই পুনর্জাগরণ সেনা বাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা...
নিজস্ব প্রতিবেদকজুলাই পুনর্জাগরণ উদযাপনের অংশ হিসেবে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর উদ্যােগে দেড়...

লালমাই উপজেলা পর্যায়ে সেরা ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের স...
কাজী ইয়াকুব আলী নিমেলকুমিল্লার লালমাই উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে...

দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
দেবিদ্বার প্রতিনিধিকুমিল্লার দেবিদ্বারে পৃথক দুইটি ঘটনায় পুকুরে ডুবে জাইফা (২) ও আদনান (২৩ মাস) নামে...

উদ্বোধনের দেড় বছর পর লালমাই উপজেলা মডেল মসজিদে ইমাম নিয়োগ
লালমাই প্রতিনিধিউদ্বোধনের দেড় বছর পরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লালমাই উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম, মুয়াজ্জ...

নগরীর শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক কুমিল্লা নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে দশম শ্...

দেবীদ্বারে এতিম শিশুদের মাঝে, মধু মাসের মধু ফল ‘আম’ বিতরণ উ...
মোঃ মাসুদ রানা, দেবিদ্বারমধু মাসের (জৈষ্ঠ) মধু ফল, ঋতুর গোস্যায় শ্রাবন মাস। (কারন আমাদের সেই প্রচলিত...
