প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 29 Oct 2025, 12:15 AM
চান্দিনায় স্বর্ণ ও সঞ্চয়ের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা জুয়েলার্স মালিক
নিজস্ব প্রতিবেদক, চান্দিনা
কুমিল্লার চান্দিনায় কোটি টাকার স্বর্ণ ও গচ্ছিত অর্থ নিয়ে লাপাত্তা জুয়েলার্সের এক ব্যবসায়ী। গত ১০ দিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি প্রায় ৪ কোটি টাকারও বেশি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে উধাও হয়েছেন জুয়েলার্সের মালিক নারায়ণ কর্মকার (প্রদীপ)। উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর নতুন বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের মধ্যে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাপাত্তা হওয়া জুয়েলার্সের মালিক নারায়ণ কর্মকার চান্দিনা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মনোরঞ্জন কর্মকারের ছেলে। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে লক্ষ্মীপুর নতুন বাজারে “পর্শীয়া জুয়েলার্স” নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। গত ১০ দিন ধরে তার দোকানের শাটার ও কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে। ব্যবসায়ী বা পরিবারের কোনো সদস্যকেই এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর গ্রামেও এখন কেউ নেই। বাড়ি ফাঁকা পড়ে আছে।
ভুক্তভোগী কৈলাইন গ্রামের ছফিউল্লাহর ছেলে শরীফ বলেন, আমি জিম্মাদার হয়ে প্রদীপের কাছে ৪ লাখ টাকা ঋণ তুলে দিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীর ২ ভরি স্বর্ণও তার দোকানে গচ্ছিত ছিল। এছাড়া আমি দুই বছর ধরে প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে সমিতিতে জমা দিতাম। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে প্রদীপ।
একই বাজারের ব্যবসায়ী বরুণ সাহা বলেন, আমরা ৫১ জন মিলে দৈনিক সমিতি করতাম। আমি প্রতিদিন ৭ শত ৫০ টাকা করে দিতাম। আমার ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সহ সবার টাকা সে নিয়ে পালিয়েছে।
এছাড়া ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের ৩ লাখ ৩০ হাজার, আবুল হোসেনের ৩ লাখ ৫০ হাজার, এরশাদ আলীর ৫ লাখ এবং বেলাল গাজীর ১ লাখ ৪২ হাজার টাকাসহ অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী ও গ্রাহকের কাছ থেকে স্বর্ণ ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণের দাম ভরি’প্রতি ২ লাখ টাকার বেশি হওয়ায় প্রদীপ কর্মকার লোভ সামলাতে পারেননি। ধীরে ধীরে বাজারে তার আস্থার জায়গা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত তিনি পুরো এলাকার ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রদীপ বর্তমানে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নাকি বর্তমানে শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, তার পরিবারের মাধ্যমে তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন হাসিমুখে ব্যবসা করতেন, কারও মনে সন্দেহ ছিল না। এখন সব টাকা, স্বর্ণ নিয়ে পালিয়েছে। এত বড় প্রতারণা আমরা কখনও দেখিনি। এ বিষয়ে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
এ কেমন স্কুল ভবন!
একটি শিশুর জন্য বাড়ির পরই সবচেয়ে নিরাপদ স্থান স্কুল। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবহেলা, অনা...
মামদানির বিজয়, মুসলিম কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা
বিশাল ভোটের ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু ক্যুমোকে পরাজিত করে...
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের জমজমাট হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির বেশির ভাগ প্...
মনোনয়ন বঞ্চনায় কুমিল্লা দঃ জেলা বিএনপির তৃণমূলে ক্ষোভ ও বি...
আয়েশা আক্তারকুমিল্লা-৬ (সদর ও সদর দক্ষিণ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভে ফুঁসছে...
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক মো. সফ...
কাজী খোরশেদ আলমবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও নির্বাহী সদস্য মো. স...
হেমন্ত প্রবাহমান নবান্নের হাতছানি
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বরুড়াআজ ২০-শে কার্তিক বাংলা ঋতু চক্রের অন্যতম হলো "হেমন্ত" কার্তিক ও&...